নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ রোধে ও জনস্বার্থে ঈদ পর্যন্ত সকল মার্কেট ও বিপণিবিতানসূমহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছিল ঈদের কেনাকাটা। অবশেষে মার্কেট বন্ধ করতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।এবং অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া শুরু করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এভাবে শাস্তি দিয়ে রাস্তায় থাকা মানুষকে ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করেন।
এ অবস্থায় এলাকায় খুব প্রয়োজন ছাড়া যাকে দেখা যাচ্ছে তাকেই রাস্তায় ১৫-২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। পরে তাদের বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানাগেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজশাহী জেলাজুড়ে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে অবশেষে যানজোট,সব মার্কেট বন্ধ করতে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহীর সব মার্কেট। এবং ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা অটোরিকশা,চার্জার ভ্যানসহ বিভিন্ন যান চলাচলে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলছেন, জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না বলেই জনস্বার্থে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সকল উপজেলাতেও একইভাবে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে। এবং জনসমাগম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।#